জলাশয় থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য হুগলীর চুঁচুড়ায়

6th March 2020 হুগলী
জলাশয় থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য হুগলীর চুঁচুড়ায়


হুগলীর চুঁচুড়ার তিন নম্বর গেট সমবায় পল্লী এলাকার একটি জলাশয় থেকে শুক্রবার সকালে  যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার।খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ।পুকুরের সামনের রাস্তায় চাপচাপ রক্ত, ভাঙ্গা উইকেট এর টুকরো,রক্ত মাখা চটি পরে থাকতে দেখা যায়।ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। মৃত যুবকের নাম সুমিত সরকার(২৪)।বাড়ি চুঁচুড়ায়  আয়মা কলোনীতে ।তাকে উইকেট দিয়ে পিটিয়ে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অনুমান পুলিশের।সুমিতকে আগে একবার চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ।দিন পনেরো আগেও একবার আটক করে।থানায় হাজিরা দিতে বলে।বিয়ে বাড়ি থাকায় পাঁচদিন এলাকায় ছিলো না সুমিত ওরফে ছোট্টু।বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি ফেরে।সন্ধায় বাড়ি থেকে বেরহয়।কারা কি কারনে খুন করেছে তা স্পস্ট নয়।তবে ছোট্টুর দাদা বিশ্বনাথ জানিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে যে চটি আর মোবাইল পাওয়া গেছে সেটা স্থানীয় রঞ্জিতের ছেলে ভুটুন নামে এক জনের।পুলিশ রঞ্জিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।চন্দননগর কমিশনারেটের এসিপি ডিডি গোলাম সারওয়ার ঘটনাস্থলে তদন্তে যান।পুরনো বিবাদ নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়,ঘটনার সময় তিন থেকে চারজন ছিলো বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।